ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবনের পাইলিং করার সময় পিলারের আঘাতে ওবায়দুর রহমান (৪০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্মাণাধীন দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত নির্মাণশ্রমিক ওবায়দুর রহমান পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। পাইলিংয়ের কাজ করার সময় যন্ত্রাংশ দিয়ে পিলারের কিছু অংশ কাটার সময় পিলারের বড় একটা অংশ শ্রমিক ওবায়দুরের ওপর পড়ে। এতে গুরুতর আহত হলে তাঁকে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই চলমান কাজে শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেন শিক্ষার্থীরা।
ওই ভবনের দায়িত্বরত প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বিষয়টি শুনেছি। সম্ভবত পাইলিংয়ের ওয়্যার ছিঁড়ে তাঁর গায়ে পড়েছিল।’
এদিকে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় নির্মাণশ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় ঘটনাস্থলের পাশে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। তাঁরা নির্মাণকাজ চলা এলাকার টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন। নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই চলমান কাজে শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেন তাঁরা।
প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনা শোনার পরপরই ওই শ্রমিককে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন নুন যায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ক্যাম্পাসে সামান্য বিক্ষোভ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মনিরুল ইসলাম (২৬) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।