সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি। ২০০১ সালে শিল্পপতি সৈয়দ রাগীব আলী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। দক্ষিণ সুরমায় স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী ও ১৩২ জন শিক্ষক আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে স্থাপিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার। এসব দেখতে দূরদূরান্তের দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। এ প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা শেষ করে অনেকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
প্রথম আলো: লিডিং ইউনিভার্সিটি অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা কেন?
উপাচার্য: আমরা নিজেদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সুনামের সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা যেন ঝরে না পড়ে, সেদিকে আমরা লক্ষ রাখি। আমরা বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীরা যেন ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে, সেভাবেই আমরা তাদের গড়ে তুলছি। লিডিং ইউনিভার্সিটির মতো দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেশে খুব কমই আছে। এ ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান ও সার্বিক ব্যবস্থাপনাও খুবই উচ্চপর্যায়ের। আর স্বাভাবিক কারণেই এ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে আছে।
প্রথম আলো: শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে আপনারা কী করছেন?
উপাচার্য: প্রতিটি প্রোগ্রামে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ এবং আউটকাম বেজড কারিকুলামের মাধ্যমে পাঠদান করানো হয়ে থাকে। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের উদ্যোগে নিয়মিত শিক্ষাপদ্ধতি এবং গবেষণাবিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। শিক্ষকদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন কনফারেন্স ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করার জন্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাবেয়া খাতুন চৌধুরী কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে একটি আধুনিক গ্রন্থাগারে পরিণত করতে ইতিমধ্যে অসংখ্য ই-বুক ও ই-জার্নাল লাইব্রেরিতে রাখা হয়েছে। লাইব্রেরিতে অটোমেশন সার্ভিসও চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাইব্রেরির সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আমাদের এখানে দক্ষ ও মানসম্মত শিক্ষকের কোনো ঘাটতি নেই। দক্ষ ও প্রবীণ শিক্ষকের টিম গড়ে তোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়মিত উদ্যোগ রয়েছে। মূলত একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম দক্ষ গ্র্যাজুয়েট গড়াই আমাদের লক্ষ্য।
প্রথম আলো: এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের সাফল্য কর্মক্ষেত্রে কেমন?
উপাচার্য: বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সফলতার সঙ্গে চাকরি করছেন।
প্রথম আলো: সহশিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণাকে আপনারা কতটুকু উৎসাহ দেন?
উপাচার্য: বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি ক্লাব আছে। এর সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা অবহেলিত মানুষদের সহায়তা থেকে শুরু করে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও গবেষণামূলক কাজে অংশ নিচ্ছেন।
প্রথম আলো: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলুন।
উপাচার্য: লিডিং ইউনিভার্সিটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দিতে ইতিমধ্যে আমরা বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এর অংশ হিসেবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রাম বিনিময় এবং গবেষণা পরিচালনার চুক্তি আছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মার্ট ক্যাম্পাস তৈরি করতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।