গাইবান্ধায় যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে নিহত ব্যক্তির বোন আনজুয়ারা বেগম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। এতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল রাতেই মামলার প্রধান আসামি সামিউল ইসলাম ওরফে সামুসহ (৩৪) এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যজন হলেন আনোয়ার হোসেন (৩৫)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামে। এর আগে ঘটনার দিন রাতে সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজমিরুজ্জামান। তিনি মুঠোফোনে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে।

পুলিশ জানায়, গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল ইসলাম ও তাঁর বন্ধু কবির মিয়া মোটরসাইকেলযোগে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখামারা ব্রিজ–সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে সাত থেকে আটজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ রশি টেনে মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তাঁর সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় জাহিদুল ও কবিরকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তির পর রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি। তাঁর বাড়ি উপজেলার পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।