ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা করায় প্রতিবাদে সভা করা ছয় যুবককে আটকের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তাঁরা হলেন শিবলী নোমান, ওসামা, মবিন, রিয়াজুল, জুনায়েদ ও মাশফিক। এর মধ্যে শিবলী নোমান ‘তাওহিদী ছাত্র জনতা, চট্টগ্রামের’ আহ্বায়ক এবং বাকিরা সদস্য।
আজ সোমবার বিকেলে নগরের জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে ‘তাওহিদী ছাত্র জনতা’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত সভা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের সদস্যরা মানববন্ধন করছেন—এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এবং ব্যবহৃত মুঠোফোন যাচাই করে তাঁরা হেফাজতের কর্মী-সমর্থক বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তাঁরা দুই উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদ সভা করেছেন।
ওসি আরও বলেন, হেফাজত নেতারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রতিবাদ সভা করায় ছয়জনকে কারণ দর্শাবেন বলে জানিয়েছেন। পরে তাঁদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা হারুন ইজাহার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদ করেছে ভালো; কিন্তু প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ সভা করার কোনো কর্মসূচি হেফাজতে ইসলামের ছিল না। তাই তাদের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে ভবিষ্যতে যাতে সংগঠনের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো কর্মসূচি পালন না করে। কোতোয়ালি থানা থেকে বিষয়টি আমাকে জানানোর পর ছয় যুবককে জিম্মায় নেওয়া হয়েছে।’