কুমিল্লার তিতাস থানা–পুলিশের দুই সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আর দাউদকান্দি উপজেলার তুজারভাঙা গ্রামের বাসিন্দা বাবু মিয়া (২১) গুলিতে নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, স্থানীয় উৎসুক জনতা তিতাস থানা ঘেরাও করতে গেলে থানা–পুলিশ আত্মরক্ষার্থে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানায় পৌঁছে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন।
থানা–পুলিশ সদস্যদের উদ্ধারের পর কিছু মানুষ তিতাস থানা এবং থানার পাশের মার্কেটে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় থানা পাহারায় থাকা দুই পুলিশ সদস্য জীবন রক্ষার্থে থানার পেছনের ফটক খুলে পালানোর চেষ্টা করেন। লোকজন তাঁদের পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁরা নিহত হন।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকার শত শত নারী-পুরুষ নিহত পুলিশ সদস্যদের লাশ দল দলে দেখতে আসেন এবং মুঠোফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করছেন। থানার ভেতরে ঢুকে করে স্থানীয় লোকজন সব মালামাল নিয়ে যান।
এদিকে দাউদকান্দি উপজেলার সদরের তুজারভাঙা গ্রামের বাসিন্দা বাবু মিয়া (২১) গতকাল দাউদকান্দি বাজারে যান। দাউদকান্দি মডেল থানার সামনের সড়কে পৌঁছার পর পুলিশের গুলিতে তিনি মারা যান। উৎসুক জনতা থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করলে থানা–পুলিশ আত্মরক্ষার্থে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।