শ্রীপুরে ভাইরাল ছবির তরুণকে গ্রেপ্তার, পরীক্ষা করা হচ্ছে পিস্তল সদৃশ জিনিসটি

গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী বাজারে অস্ত্র হাতে জাহিদুল হাসান। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী বাজারে বিএনপির পদযাত্রার মিছিলে পিস্তল উঁচিয়ে ধরা জাহিদুল হাসানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে পিস্তল সদৃশ জিনিস উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার ভোর সোয়া চারটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাহিদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর কাছ থেকে পিস্তল সদৃশ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। বিএনপির পদযাত্রা অনুষ্ঠানের সময় গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শান্তি সমাবেশ করার জন্য তাঁদের কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে বাজারের জনতার মোড় থেকে বের হয়ে সরকারবিরোধী উত্তেজিত স্লোগান দিয়ে অতর্কিতভাবে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সামনের রাস্তায় রাখা পাঁচ থেকে সাতটি চেয়ার ভাঙচুর ও হামলা করেন। এ সময় জাহিদুল আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে জনমনে ভয়ভীতি ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, আজ ভোরের অভিযানে অস্ত্রধারী জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে পিস্তল সদৃশ জিনিস উদ্ধার করা হয়। একই অভিযানে গাজীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আফাজ উদ্দিন প্রধান (৫০) ও মো. তাইম (২২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল, কাচের টুকরা ও টিনের কৌটার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় শ্রীপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।

শ্রীপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার পিস্তল সদৃশ জিনিসটি পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া চলছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গতকাল শ্রীপুরের বরমী বাজারে স্থানীয় বিএনপির পদযাত্রা মিছিলে জাহিদুল নামের এক তরুণের অস্ত্রসহ অংশ নেওয়ার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই তরুণ ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন সাদুয়া গ্রামের মীর সাইদুর রহমানের ছেলে। তিনি বরমীর বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে একটি বাড়িতে থাকেন।