বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ নারীসহ ১৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে ১৩ জনকে দুই দিন পুলিশ হেফাজতে রেখে রিমান্ডের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার পাঁচ নারীর মধ্যে চারজনকে চার দিন করে এবং একজনকে তিন দিন কারাফটকে রিমান্ডের অনুমতি দেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবানের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরান এই আদেশ দেন।
এর আগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ বলেন, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিদের মধ্যে চারজন থানচি থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা, নয়জন রুমা থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার আসামি। বাকি পাঁচজনকে রুমা থানায় করা অস্ত্র আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রুমা–থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও অস্ত্র লুটের অভিযোগে করা ৯টি মামলায় এ পর্যন্ত ৮১ জনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বান্দরবানে ২ এপ্রিল রুমায় এবং ৩ এপ্রিল থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির সময় রুমায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা নিতে না পারায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ এবং পাহারায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও এক মাসেও লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িত।