চাল আত্মসাতের মামলায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে (তারু মিয়া) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল মামুন এ আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সুমন জানান, ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তিনি হাইকোর্ট থেকে অস্থায়ী জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের সময় শেষ হলে গতকাল চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির হন আবুল কালাম আজাদ। বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন চাল বিতরণে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নবী হোসেন। ঘটনায় জড়িত থাকায় আসামি করা হয় গ্রাম পুলিশের সদস্য সোহাগ মিয়াকেও। মাইজখাপন ইউনিয়নে ৪ হাজার ৪৪৭ জন ভিজিএফ কার্ডধারীর মধ্যে জনপ্রতি ১০ কেজি করে ৪৪ হাজার ৪৭০ কেজি চাল বিতরণের কথা ছিল। ১৪ জুন সকাল ৯টা থেকে ১৫ তারিখ বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২ হাজার ১৬৫ জনের মধ্যে ২১ হাজার ৬৫০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। ১৬ জুন সকালে চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন অবশিষ্ট ২২ হাজার ৮২০ কেজি চাল থেকে ১ হাজার ৮২০ কেজি চাল সরিয়ে ফেলেন।
ট্যাগ অফিসার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নবী হোসেন বলেন, ‘চাল পাচারের সময় স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য দেখে আমাকে খবর দেন। পরে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তাঁর নির্দেশে এমনটা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন। বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়ে সরেজমিনে গিয়ে গুদামে চালের মজুত কম দেখি। পরে পুলিশে খবর দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করি।’