চাঁদাবাজি
চাঁদাবাজি

মামলা থেকে বাদ দিতে বিএনপি নেতা বললেন, ‘আমার এই নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠায়ে দেন’

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সহযুব সম্পাদক বেলাল হোসেনের (সৌখিন) বিরুদ্ধে মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক শামসুল আলম খানের কাছে তিনি এই চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে দুই নেতার কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোবরচাপা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাতে বিস্ফোরক আইনে বেলাল হোসেন বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় একটি মামলা করেন। এতে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, মিঠাপুর ইউপির চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন, বদলগাছী সদর ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, কোলা ইউপির চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলামসহ ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আরও ১২০ জনকে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রথমে সুমন হোসেন ও নয়ন হোসেন নামের দুটি ফেসবুক আইডি থেকে বেলাল হোসেন ও শামসুল আলমের কথপোকথনের ওই অডিও পোস্ট দেওয়া হয়।

গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রথমে সুমন হোসেন ও নয়ন হোসেন নামের দুটি ফেসবুক আইডি থেকে বেলাল হোসেন ও শামসুল আলমের কথপোকথনের ওই অডিও পোস্ট দেওয়া হয়। ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের অডিওতে বেলাল হোসেন বলেন, ‘...আপনি ম্যানকার (বিএনপি নেতা মানিক) সাথে যোগাযোগ করে বাঁচতে পারবেন?...আমার এই নম্বরে বিকাশ, নগদ সব আছে। আপনি এক লাখ টাকা এখানে পাঠায়ে দেন। তাইলে আপনি ম্যানকাক টাকা দেবেন মানে, আমরা কে? টাকা দিতে হবে।’

এ বিষয়ে শামসুল আলম বলেন, ‘বুধবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়। শুনতেছি, মামলায় অভিযুক্ত অন্যদের কাছ থেকেও এভাবে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে।’

শামসুল আলমের কাছ থেকে ‘অপরিচিত’ মুঠোফোন নিয়ে যোগাযোগ করেন এ প্রতিবেদক। ফোন ধরেন বিএনপি বেলাল হোসেন। তবে তিনি দাবি করেন, ‘শামসুল চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথাই হয়নি। যেটা ছড়াছে, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া। আমি মামলার বাদী। আমাকে ফাঁসানোর জন্য কেউ এডিট করে ফেসবুকে এটা ছাড়ছে।’