খুলনায় মোংলা ইপিজেডের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির ৭৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর সরদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম (তুহিন) ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসানসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনকে। এজাহারভুক্ত আসামিরা সবাই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন যুবদল কর্মী ও মামলার ১ নম্বর আসামি মো. হযরত আলী এবং ২ নম্বর আসামি মো. সোহেল শেখ। গতকাল দুপুরেই তাঁদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের সোনাডাঙ্গা এলাকার এম এ বারী সড়কের পাশে রাখা মোংলা ইপিজেডের একটি বাসে আগুন লাগে। এতে বাসের বেশ কিছু আসন পুড়ে যায়। খুলনা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা সরকার উচ্ছেদ, পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো), বাংলাদেশ বেতারসহ কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন (কেপিআই), অর্থাৎ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংসের উদ্দেশে ওই বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় অন্যান্য কোনো ক্ষতি করতে পারেননি।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক বলেন, নাশকতা করার জন্য ওই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।