দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বেলা তিনটায় শহরের ইসদাইরে অবস্থিত এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে এই জনসভা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের দুই পাশে ও আশপাশের ভবনে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। শহরে প্রবেশপথ, জনসভাস্থলের মাঠে ও আশপাশের উঁচু ভবনেও বিশাল আকৃতির ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নিরাপত্তায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে দলীয় প্রধানের আগমন উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আজ সকালে থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনসভাস্থলের দিকে আসতে শুরু করেন। তবে মাঠে পৌনে ১১টা পর্যন্ত কাউকে ঢুকতে দেননি দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে রওনা হয়ে আজ বেলা তিনটায় জনসভাস্থলে উপস্থিত হবেন। জনসভা শেষে আবার তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই প্রথম আলোকে বলেন, জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতা-কর্মীরা জনসভায় অংশ নেবেন। তাঁরা আশা করছেন, জনসভার মাঠ ভরেও প্রচুর নেতা-কর্মী আশপাশের সড়কে অংশ নেবেন।
জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদাপোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে ২০১১ সালের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের ১০০ মেগাওয়াট ও বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জে ১০২ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন দুটি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেছিলেন। প্রায় ১২ বছর ৯ মাস পর তিনি আবার নারায়ণগঞ্জে আসছেন।