নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের মেঘনার টাংকির ঘাটের দখল নিয়ে বিরোধের জেরে সাতজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় টাংকির বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং বাকি চারজনকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন আবদুর রব ব্যাপারী, মোতাহার হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তফা, মো. ইদ্রিস, মো. জামসেদ, মো. আশরাফ উদ্দিন ও মো. মোস্তাফিজ। এর মধ্যে প্রথম তিনজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আর বাকি চারজনকে রামগতির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর থেকে হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচরের টাংকির ঘাটের দখল নিয়ে স্থানীয় আবদুর রব ব্যাপারীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রামগতির উপজেলার ফরিদ উদ্দিন ওরফে ফরিদ কমান্ডারের বিরোধ দেখা দেয়। ফরিদ কমান্ডার এরই মধ্যে একাধিকবার টাংকির ঘাট দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবদুর রব তাঁর কয়েকজন অনুসারীসহ টাংকির বাজারের একটি দোকানে কথা বলছিলেন। এমন সময় ফরিদ কমান্ডারের একদল লোক ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে অতর্কিতে হামলা চালান। হামলাকারীদের পিটুনি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আবদুর রবসহ আটজন আহত হন। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান ঘাট ও মাঈনউদ্দিন বাজার থেকে পুলিশ এবং সুবর্ণচর থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের চারজনকে সেনাবাহিনী আটক করেছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ববিরোধের জের ধরে রামগতির ফরিদ কমান্ডারের লোকজন টাংকির ঘাটের বাজারে অবস্থান করা আবদুর রব ও তাঁর লোকজনের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। হামলায় আবদুর রবসহ আটজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টাংকির ঘাটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলায় আহত ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।