অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে অপেক্ষা করছে পেঁয়াজবাহী শতাধিক ট্রাক। বাংলাদেশে যেকোনো সময় পেঁয়াজ আমদানি করা হতে পারে, এমন খবরে ভারতের ব্যবসায়ীরা আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ট্রাক প্রস্তুত করে রেখেছেন। যদিও আজ শনিবার পর্যন্ত সরকার পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে তাঁরা কোনো নির্দেশনা পাননি। নির্দেশনা পেলে ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে।
ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ভোটা ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, যেকোনো সময় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি হতে পারে, এমন খবরে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আগাম প্রস্তুত নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে পেঁয়াজবাহী শতাধিক ট্রাক অবস্থান করছে। অনুমতি পাওয়া গেলেই এসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ভোমরা বন্দরের ওপারে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে শতাধিক ট্রাকে ভারতীয় পেঁয়াজ আনা হয়েছে বলে সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ১৪ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখন কৃষি মন্ত্রণালয় অনমুতি দিলে আমদানি শুরু হবে।
ভোমরা বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আমীর হামজা বলেন, ভারতের বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম ১৫ থেকে ১৬ রুপি। বাংলাদেশে এসব পেঁয়াজ আমদানি হলে পাইকারি ২১ থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হতে পারে। এরপরও ডলারের দাম, পরিবহন খরচ হিসাব করে দাম নির্ধারণ হবে। দেশে এ পেঁয়াজ ঢুকলে বাজারে দাম কমতে শুরু করবে।
ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে আজ (শনিবার) পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে ভারতীয় পেঁয়াজ ভোমরা বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকবে।