আরাকান আর্মির হামলার মুখে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ভবনের পাশে আশ্রয় নেন
আরাকান আর্মির হামলার মুখে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ভবনের পাশে আশ্রয় নেন

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আরও ৭ সদস্য কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আহত আরও সাতজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তত্বাবধানে সেখানে মোট নয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে এ পর্যন্ত বিজিপির ৯৫ সদস্যের বাংলাদেশে আসার তথ্য জানিয়েছে বিজিবি। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত যাঁরা, তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে উখিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে কঠোর নিরাপত্তায় তাঁদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিজিপির দুই সদস্যকে আহত অবস্থায় গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। আজ সোমবার সকালে আরও সাতজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে গতকাল রাত ১১টার দিকে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি ঘিরে গোলাগুলি শুরু হয়ে। আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত গোলাগুলি চলে। এরপর তীব্র গোলাগুলি বন্ধ হয়। তবে বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে গতকাল আরাকান আর্মির দখল করা বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে আক্রমণ শুরু করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আরাকান আর্মিও হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে।