রাজশাহী পুঠিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের মারামারি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অভিযান। শনিবার দুপুরে
রাজশাহী পুঠিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের মারামারি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অভিযান। শনিবার দুপুরে

পুঠিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা, গ্রেপ্তার ২

রাজশাহীর পুঠিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির দুজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুঠিয়া থানায় মামলা দায়েরের পর বিএনপির দুই নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আহত দুজন হলেন উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ধোপাপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর রহমান (৩৫) ও স্থানীয় বিএনপির কর্মী সুজন আলী (২৫)। তাঁদের বাড়ি ধোপাপাড়া গ্রামে। দুজনের মধ্যে মঞ্জুরকে গতকাল দিবাগত রাতে ও সুজনকে আজ দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হলে জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শামীম হোসেন (৪০) ও বিএনপির কর্মী মো. তুষারকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বিকেলে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন বিকেলে বিএনপি নেতা শামীম হোসেন পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁর অনুসারীদের নিয়ে বিলমাড়িয়া পূর্ব পাড়ার বিএনপির কর্মী শোভা (৭৫) ও আবদুল হামিদকে (৩৪) মারধর করেন। ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের অভিযোগ, শামীমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দুজনও মারধরে যোগ দেন। তাঁরা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে শামীমের ক্যাডার হিসেবে যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চার হয়। এ নিয়ে সাত-আট দিন আগে ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান নেতারা বিলমাড়িয়ায় একটা সমঝোতার জন্য বসেছিলেন। কিন্তু সেখানেও সমঝোতা হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর উপজেলার ধোপাপাড়া বাজারে শামীমকে পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা কথা বলছিলেন। এ নিয়ে আবার বিশৃঙ্খলা শুরু হলে শামীমের সমর্থকেরা ধোপাপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর রহমানকে (৩৫) কুপিয়ে জখম করেন। তাঁকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শুক্রবার রাতে মঞ্জুর রহমানের ভাই মনসুর রহমান বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনার জেরে আজ সকাল ১০টার দিকে শামীম ও জয়নাল আবেদীনের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এর মধ্যে জয়নালের সমর্থকেরা শামীমের সমর্থক সুজন আলীকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা-পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ শামীম ও তুষারকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।