পিরোজপুরের ইন্দুরকানি ও কাউখালী উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৯৮ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে বিএনপির এক নেতা বলছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ আওয়ামী লীগের লোকজনকে দিয়ে এসব ‘গায়েবি মামলা’ দিচ্ছে।
ইন্দুরকানি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে উপজেলার বালিপাড়া বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই কার্যালয়ে থাকা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল বাশার (৬০), ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন ফরাজী (৩৯), সদস্য আলাউদ্দিন হাওলাদার (৩০) ও বেলায়েত হোসেন (৪৪) আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ওই রাতে আহত আবুল বাশার বাদী হয়ে বিএনপির ৭৫ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মোট ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ওই মামলায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে।
ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে রাতে বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা ও সাতটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কাউখালী থানার পুলিশ জানায়, উপজেলার শিয়ালকাঠি চৌরাস্তা এলাকায় গতকাল রাতে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় রাতে উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল আকন বাদী হয়ে বিএনপির ২৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ৬৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন আহত হন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব শরিফুল আজমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ আওয়ামী লীগের লোকজনদের দিয়ে ‘গায়েবি মামলা’ দিচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ ঘিরে কর্মীদের হয়রানি করতে এসব মামলা দেওয়া হচ্ছে। তবে বিএনপির গণসমাবেশ সফল হবে।