বাবার কবরের পাশে সমাহিত হলেন চিত্রনায়ক ফারুক

চিত্রনায়ক ফারুকের জানাজায় অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ। মঙ্গলবার রাত নয়টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জে দক্ষিণসোম টিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ–সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে
 ছবি: প্রথম আলো  

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে সমাহিত হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতা, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণসোম টিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হয়।

এর আগে সন্ধ্যার দিকে পৈতৃক ভিটায় চিত্রনায়ক ফারুকের লাশ আনা হয়। সেখানে এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাত নয়টার দিকে দক্ষিণসোম টিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ–সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই তাঁকে দাফন করা হয়।

চিত্রনায়ক ফারুকের ফুফাতো ভাই রেজাউল করিম ওরফে হুমায়ুন মাস্টার বলেন, জীবিত অবস্থায় ফারুক অসিয়ত করে গেছেন, যেন মৃত্যুর পর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে দাফন করা হয়। সেই অনুসারে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

গত সোমবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যু হয়। তাঁর মরদেহ বহন করা উড়োজাহাজটি মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দর থেকে ফারুকের মরদেহ সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর উত্তরায় তাঁর নিজের বাসভবনে। সেখান থেকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সেখানে রাখা হয় মরদেহ।

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন তিনি।