উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবার বেলা ৩টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ইতিমধ্যে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প পয়েন্টে পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। নদ–নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বাসিন্দারা।
আজ সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে। স্বাভাবিক পানিপ্রবাহের মাত্রা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। বেলা ৩টায় পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তার তীরবর্তী গ্রাম কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের গ্রামগুলোয় নদীর পানি ঢুকেছে। তা ছাড়া গত রাত থেকে সানিয়াজানে পানি বাড়ায় হাতীবান্ধার ফকিরপাড়া ইউনিয়নে ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার চর সিন্দুর্না গ্রামের বাসিন্দা মফিজার রহমান বলেন, গত রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর এলাকার বসতবাড়ি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। অনেক পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
হাতীবান্ধার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার খোকন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার থেকে ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ডের দুই থেকে তিন শ পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
পাউবোর ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা প্রথম আলোকে বলেন, তিস্তার পানি বাড়ছে। সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।