চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং নিহত হওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীসহ জামায়াত–বিএনপির সাত শ নেতা–কর্মী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁরা মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়াদের বেশির ভাগই বিএনপির নেতা–কর্মী।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আদালত থেকে জামিননামা আসার পর যাচাই–বাছাই করে সাত শ বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তাঁরা কারাগারে এসেছিলেন। এর আগে ১৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুবলীগ–ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গত ১৬ জুলাই বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে তিনজন নিহত হন। তাঁরা হলেন মো. ফারুক (৩২), ফয়সাল আহমেদ (২০) ও মো. ওয়াসিম (২২)। ওয়াসিম ছুরিকাঘাতে বাকি দুজন গুলিতে মারা যান। ফারুক ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী, ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র, কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফয়সাল আহমেদ নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া আহত হন প্রায় ৫০ জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ঢাকায় মারা যান। ১৮ জুলাই নগরের বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে দুজন মারা যান।
নগর ও জেলায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার ঘটনায় মোট ৩৪টি মামলা হয়। এসব মামলায় ৩৮ হাজার ৬০০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় এক হাজার জনকে।