মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ রোববার আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ রোববার আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ

মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত, আহত অর্ধশত

মুন্সিগঞ্জ শহরে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে আজ রোববার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশত। সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছর।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা জামাল আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন মৃত ছিলেন। তাঁদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছর। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে আজ থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। আজ সকালে মুন্সিগঞ্জ শহরে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে।

মুন্সিগঞ্জ শহরে সংঘর্ষের সময় মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়

আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সকালে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তখন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা–কর্মীরা তাঁদের মারধর শুরু করেন। পরে তাঁরা একত্র হয়ে মিছিল শুরু করেন। পাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। হঠাৎ করে তাঁদের ওপর হামলা ও গুলি করা হয়। তাঁদের ৪০ থেকে ৫০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খাইরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকেই দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। তবে দুই পক্ষ মারমুখী অবস্থানে রয়েছে। সংঘর্ষে হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি হাসপাতাল থেকে জানতে হবে।