পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আর ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে না। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেষ পর্যন্ত একজন করে প্রার্থী থাকায় তাঁদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাধবী রায়।
চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজুল ইসলাম। তাঁর বড় ভাই পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মিরাজুল ইসলাম প্রথম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী মশিউর রহমান মৃধা সাবেক জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী মালিকা পারভীন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী।
মিরাজুল ইসলাম জনপ্রিয় হওয়ায় তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রার্থী নেই। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকায় দলের কোনো নেতা প্রার্থী হননি।ফায়জুর রশিদ জমাদ্দার, সভাপতি, ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মিরাজুল ইসলাম, তাঁর ছোট ভাই মো. সালাহ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এহসাম হাওলাদার ও উপজেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) নির্বাহী সভাপতি মো. মাহিবুল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দেন। ৫ মে যাচাই-বাছাইতে হলফনামায় ত্রুটি থাকায় মো. মাহিবুল হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এরপর মো. সালাহ উদ্দিন ও মো. এহসাম হাওলাদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এ কারণে মিরাজুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে মশিউর রহমান মৃধা ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মালিকা পারভীন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র জমা দেওয়ায় তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
মিরাজুল ইসলামের প্রস্তাবকারী ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফায়জুর রশিদ জমাদ্দার বলেন, মিরাজুল ইসলামের বিপক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া এক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার পর অন্য দুই প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। মূলত মিরাজুল ইসলাম জনপ্রিয় হওয়ায় তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রার্থী নেই। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকায় দলের কোনো নেতা প্রার্থী হননি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাধবী রায় বলেন, ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় তাঁদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।