কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর ট্রেন মহানগর এক্সপ্রেস চাকা পিছলে আবারও রেলওয়ে সেতুতে উঠতে পারেনি। চার ঘণ্টা পর আখাউড়া থেকে ইঞ্জিন এনে পেছন দিক থেকে ঠেলে সেতু অতিক্রম করানো হয়।
এ কারণে গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে সেতুর ভৈরব প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর একই ট্রেন একইভাবে ‘হুইল স্লিপ’–এর শিকার হয়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিদিন এক জোড়া আন্তনগর মহানগর ট্রেন ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচল করে। মহানগর গোধূলী ট্রেনটির ভৈরব স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় রাত ১১টায়। গতকাল ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে আসে ১১টা ১৭ মিনিটে। ছেড়ে যায় ১১টা ২০ মিনিটে। কয়েক মিনিট পরই ট্রেনটি ভৈরব সেতুতে উঠতে গিয়ে হুইল স্লিপের শিকার হয়। ওই সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। কিছু সময় বিরতি নিয়ে আবার সেতু অতিক্রমের চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি।
এ অবস্থায় ট্রেনটি সেতুর কাছে ৩২ মিনিট অবস্থান করে। শেষে দিবাগত রাত ১২টা ৩ মিনিটে ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে ফিরে আসে। রাত ১২টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি আবারও স্টেশন ছেড়ে যায়। কিন্তু তখনো একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে রাত ১টায় আবারও স্টেশনে ফিরে আসে। পরে সিদ্ধান্ত হয়, আখাউড়া থেকে ইঞ্জিন এনে শক্তি বাড়িয়ে সেতু পার করানো হবে। ইঞ্জিন আসে রাত ১টা ১৮ মিনিটে। ইঞ্জিনটি ট্রেনের পেছন দিকে যুক্ত করা হয়। পরে সামনে ও পেছনের ইঞ্জিনের শক্তি কাজে লাগিয়ে রাত ৩টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি সেতুতে উঠতে সক্ষম হয়।
ভৈরব স্টেশনমাস্টার মো. ইউসুফ বলেন, ট্রেনটিকে সেতু পার করাতে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগে। এমনটা হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যা খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মধ্যে লাইন ও ইঞ্জিনের চাকার ক্ষয়জনিত সমস্যা আছে কি না, সেটাও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
কয়েকজন অভিযোগ করেন, গভীর রাতে ট্রেনে সমস্যা হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি অনেক বেড়ে যায়। কয়েক যাত্রী ছিনতাইসহ অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আলিম সিকদার বলেন, ‘পুরো সময়টিতে আমাদের টহল দল ছিল। আমি নিজেও ছিলাম। কোনো যাত্রীকে নিরাপত্তা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে শুনিনি।’