টাকা লুট করে চলে যাওয়ার সময় গুলি ছোড়া সন্ত্রাসী মনসুর আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে বরগুনা থেকে গ্রেপ্তার করে খুলনা পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ বরগুনা থেকে সন্ত্রাসী মনসুরকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে। বিস্তারিত আজ দুপুরে নগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করে জানানো হবে।
‘চট্টগ্রামে অস্ত্রবাজি, টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে ছোড়েন গুলি’ শিরোনামে গত শুক্রবার প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় সন্ত্রাসী মনসুরের আদ্যোপান্ত নিয়ে। এরপর তাঁকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী বাজারের একটি ডিমের আড়তের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে মনসুরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দৃশ্য ধারণ করা আছে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, ওই ডিমের আড়তে হঠাৎ অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েন মনসুর ও তাঁর তিন সহযোগী সন্ত্রাসী। পরে দোকানের ক্যাশ থেকে তাঁরা ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় ছোড়েন ফাঁকা গুলি, যাতে কেউ এগিয়ে আসতে না পারেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, মনসুর পাহাড়তলী থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১২টি মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল পাহাড়তলী বাজারে একটি ডিমের আড়ত রানা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানাকে খুনের মামলার আসামি এই মনসুর। টাকা লুট করতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়। এ ঘটনার পর অস্ত্র-গুলিসহ মনসুরকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বর্তমানে মাসুদ হত্যা মামলাটি বিচারাধীন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের পাহাড়তলীর দুলালাবাদ এলাকার আবদুল মালেক দারোয়ানের বাড়ির মৃত জমির আহাম্মদের ছেলে মনসুর। বিভিন্ন সময় চুরি-ছিনতাই করে অপরাধে জড়ান তিনি। ধীরে ধীরে এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জনের দল গঠন করে শুরু করেন নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। পাহাড়তলীর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা সাবের আহমদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মনসুর।