কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ সময় আহত হন আরও একজন। আহত ব্যক্তির বরাত দিয়ে থানা-পুলিশ জানিয়েছে, ইয়াবা কারবারের বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গতকাল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা বড়বিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. হুমায়ুন রশিদ ওরফে সুমন মিয়া (৩৫)। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। আহত হয়েছেন জহিরুল ইসলাম (৩৮)। তিনিও লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা। জহিরুলকে বর্তমানে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, গতকাল রাতে মরিচ্যাঘোনা বড়বিল এলাকায় সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা ওই দুই ব্যক্তির ওপর হামলা চালান। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। চিকিৎসাধীন জহিরুল পুলিশকে জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হুমায়ুন ও জহিরুল লক্ষ্মীপুর থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। গতকাল সকালে তাঁরা পূর্বপরিচয়ের সূত্রে মরিচ্যাঘোনা এলাকার মোহাম্মদ রাসেলের বাড়িতে বেড়াতে যান। কক্সবাজার কারাগারে থাকার সময় হুমায়ুনের সঙ্গে মোহাম্মদ রাসেলের মধ্যে পরিচয় হয় এবং ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
জহিরুলের বরাত দিয়ে নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, হ্নীলায় পৌঁছানোর পর হুমায়ুনের সঙ্গে রাসেল ও মো. ইব্রাহিম নামের দুই ব্যক্তির আলাপ-আলোচনা হয়। আলাপ শেষে তাঁরা সুমন ও জহিরুলকে গাড়িতে তুলে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় এক পাহাড়ে নিয়ে যান। সেখানে রাসেল, ইব্রাহিমসহ আরও পাঁচ থেকে ছয়জন মিলে তাঁদের (সুমন ও জহিরুল) লোহার রড দিয়ে মারধর করতে থাকেন। এ সময় হুমায়ুনের কাছ থেকে পাওনা বাবদ তিন লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করেন। মারধরের একপর্যায়ে সুমন আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। আর আহত জহিরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মো. এনামুল হক বলেন, জহিরুলকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখা গেছে।
নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইয়াবার টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চালানো হচ্ছে। আজ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
নিহত হুমায়ুনের স্ত্রী শাহেনা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, হুমায়ুন আর জহিরুল সিলেট হয়ে টেকনাফে গেছেন। যাওয়ার সময় তাঁরা তিন লাখ টাকাও নিয়ে গেছেন। তিনি তাঁর স্বামীর হত্যার বিচার চান।