কর্মচারীদের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন সৌদি আরবের নাগরিক আহাম্মদ হলিবি ও তাঁর ছেলে আবদুল লিল হলিবি। তাঁরা তিন দিনের সফরে আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পৌঁছান। তাঁদের একনজর দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবেরচর নয়াপাড়া এলাকার প্রয়াত কৃষক চান মিয়ার তিন ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০), আবদুল হামিদ (৩৫) ও সারোয়ার হোসেন (৩১)। তাঁদের মধ্যে খাইরুল ২০ বছর আর ছোট দুই ভাই হামিদ ও সারোয়ার ৭ বছর আগে সৌদি আরবে যান।
সৌদি আরবের দাম্মামের আল হাসার খালিদিয়া এলাকার আহাম্মদ হলিবির পরিবারের কৃষিকাজ করেন খাইরুল ও হামিদ। আর সারোয়ার হোসেন ওই পরিবারের গাড়ি চালান। দীর্ঘদিন সেখানে কাজ করতে গিয়ে মালিকদের সঙ্গে তাঁদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সৌদি আরবের দাম্মামের আল হাসার খালিদিয়া এলাকার আহাম্মদ হলিবির পরিবারের কৃষিকাজ করেন খাইরুল ও হামিদ। আর সারোয়ার হোসেন ওই পরিবারের গাড়ি চালান। দীর্ঘদিন সেখানে কাজ করতে গিয়ে মালিকদের সঙ্গে তাঁদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই আন্তরিকতার টানে মঙ্গলবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন সৌদি নাগরিক আহাম্মদ হলিবি ও তাঁর ছেলে আবদুল লিল হলিবি। আবদুল হামিদ এক সপ্তাহ আগে দেশে এসেছেন আর সৌদি মালিক ও ছেলের সঙ্গে দেশে এসেছেন খাইরুল। সৌদিতে রয়ে গেছেন আরেক ভাই সারোয়ার। মঙ্গলবার ভোরে দেশে এলে বিমানবন্দর থেকে হামিদ তাঁদের বরণ করেন। পরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে হোসেনপুর সদরের ঢেঁকিয়া খেলার মাঠে আসেন তাঁরা। পরে সেখান থেকে মাইক্রোবাসে তাঁরা সাহেবের চর নয়াপাড়া এলাকায় হামিদদের বাড়িতে যান। সৌদি আরবের দুই নাগরিককে দেখতে নয়াপাড়ায় ভিড় করছেন শিশু, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ।
খাইরুল, হামিদ ও সারোয়ার আমার অধীন চাকরি করলেও তাঁদের আমার নিজের পরিবারের সদস্যদের মতোই মনে করি। এ ছাড়া তাঁদের কাজেও আমি সন্তুষ্ট।আহাম্মদ হলিবি, সৌদি আরবের নাগরিক
আহাম্মদ হলিবি বলেন, ‘খাইরুল, হামিদ ও সারোয়ার আমার অধীন চাকরি করলেও তাঁদের আমার নিজের পরিবারের সদস্যদের মতোই মনে করি। এ ছাড়া তাঁদের কাজেও আমি সন্তুষ্ট। তাঁদের আমি অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসার টানেই ছেলেসহ বাংলাদেশে ছুটে এসেছি। এসে অনেক ভালো লাগছে। তাঁদের ও আশপাশের মানুষের আতিথিয়েতায় আমরা মুগ্ধ।’
প্রবাসী আবদুল হামিদ বলেন, মালিক ও তাঁর ছেলে অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশে আসার বিষয়ে আগ্রহ জানিয়ে আসছিলেন। আজ মঙ্গলবার ভোর চারটার ফ্লাইটে তাঁরা ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে সেখান থেকে তাঁদের হেলিকপ্টারে প্রথম হোসেনপুর এবং সেখান থেকে মাইক্রোবাসে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।