ঝুলন্ত লাশ
ঝুলন্ত লাশ

ঘরের টেবিলের ওপর চিরকুট, গাছে ঝুলছিল আওয়ামী লীগ নেতার লাশ

ঘরের টেবিলের ওপর পড়ে ছিল ছয় পৃষ্ঠার একটি চিরকুট। তাতে লেখা পরিবারের অভাব–অনটন ও ঋণের কথা। আর ঘরের একটু দূরে কাঁঠালগাছের সঙ্গে ঝুলছিল আওয়ামী লীগ নেতার লাশ।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের লুদুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে কামাল উদ্দিন মজুমদার (৬৫) নামের ওই আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কেশারপাড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

পুলিশ জানায়, উদ্ধারের পর নিহত কামাল উদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলেক হোসেন বলেন, কামাল উদ্দিন মজুমদার বেশ ঋণগ্রস্ত ছিলেন। তাঁর ঘরে পাওয়া একটি চিরকুটে ঋণের কথা উল্লেখ করা আছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সেনবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মৃত দেহটি তিনি ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছেন। নিহত কামাল উদ্দিন মজুমদার পেশায় একজন কৃষক ছিলেন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আজ সকালে পরিবারের সদস্যরা ঘরের সামনের কাঁঠালগাছের সঙ্গে তাঁর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। ঘরের টেবিলে পাওয়া যায় ছয় পৃষ্ঠার একটি চিরকুট। তাতে তিনি মৃত্যুর কারণ হিসেবে ঋণের চাপ ও অভাব-অনটনের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে চিরকুটের লেখা তাঁর হাতের কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

এসআই জাকির হোসেন বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর তিনি লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

কেশারপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বেলাল ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে তিনি কামাল উদ্দিন মজুমদারের বাড়িতে গিয়েছেন। তিনি ছাড়া তাঁর পরিবারের হাল ধরার মতো কেউ ছিলেন না। নানা কারণে তিনি অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে বেশ হতাশ ছিলেন। ওই হতাশা থেকেই আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।