ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় সংসদ নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষ্ণপুর গ্রামের মনছের মণ্ডল (৫৫), কল্যাণপুর গ্রামের মুন্না মণ্ডল (২৫), পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন (৩৫), কলম মণ্ডল (৪৫) ও মোহাম্মদ নাসিমকে (২২) সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মনছের মণ্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জেসমিন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের শরীরে ধারালো অস্ত্র ও পেটানোর আঘাত আছে। তাঁদের মধ্যে মনছের মণ্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন জোয়ারদার স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জয়ী সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু সুরাট ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম নৌকার পরাজিত প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকীর সমর্থন করেন। নির্বাচন ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ ছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুলের এক সমর্থককে কল্যাণপুর বাজারে মারধর করেন প্রতিপক্ষ কবির হোসেন জোয়ারদারের সমর্থকেরা। এর কিছুক্ষণ পর কৃষ্ণপুর গ্রামে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন জোয়ারদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বর্তমানে ঢাকায় আছেন। স্থানীয় এলাকায় মারামারি কথা শুনেছেন। কিন্তু এখনো বিস্তারিত কিছু জানতে পারেননি। অন্যদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী। সংঘর্ষের বিষয়ে মুঠোফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।