শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমান
শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমান

সিদ্ধিরগঞ্জে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রফিকুল ইসলাম (২৪) নামের এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় আরও ১০০-১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রফিকুলের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে মামলার আবেদন জানালে আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা–পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে। এ নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় ২৩টি হত্যাসহ মোট ২৯টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি হত্যাসহ ১৯টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য দিদার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম প্রমুখ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২১ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, শামীম ওসমানের নির্দেশে আসামিরা বাদীর ছেলে রফিকুল ইসলামকে পাঁচটি গুলি করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আসামিরা বাদীর ছেলেকে মারধর করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। মিছিলের লোকজন তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রো–অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের নির্দেশে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।