সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ (বাঁয়ে), সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর
সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ (বাঁয়ে), সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর

সাতক্ষীরায় সাবেক এমপি ও এসপির বিরুদ্ধে মামলা

সাতক্ষীরার কলারোয়ার মানিকনগরের আবদুল গফুরসহ বিএনপি-জামায়াতের সাত নেতা-কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, চাঁদা দাবি, হত্যার হুমকিসহ ৬০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগে সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। সাতক্ষীরার আমলি আদালত-৪-এ আজ বুধবার মামলাটি করেন মানিকনগর গ্রামের গফুর। আদালতের বিচারক অনিমা মণ্ডল মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আবদুল আজিজ মাস্টার, সিরাজুল গাজী, মারুফ দফাদার, আরাফাত দফাদার, মানিকনগর গ্রামের আবদুর রউফ, মানিকনগর গ্রামের আকতার গাজী ও আমিরুল গাজী, খোর্দ্দবাটরা গ্রামের হাবিব মাস্টার, উত্তর ক্ষেত্রপাড়ার রেজাউল বিশ্বাস, আবুল শেখ, মোস্তাফিজুর শেখ, জয়নাল গাজী, মিজানুর সরদার, তবিবুর মোড়ল, শাহিন মোড়ল, হারুন মোড়ল, লুৎফর মোড়ল, রওশন খাঁ, হবিবর মোড়ল, মিঠু সাহা, লতিফ গাজী, বজলু মোড়ল, পবিত্র সাহা, আসমত আলী, ধানদিয়া গ্রামের গিয়াসউদ্দিন, মো. হেলাল, মো. আফসার, জয়নগর গ্রামের শ্রী ভোলা, হাসানুর মালি, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আয়ুব আলী, মোতালেব খাঁ, বসন্তপুর গ্রামের আজিজ বিশ্বাস, আদিলউদ্দিন, ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের কায়কোবাদ মোড়ল খোর্দ্দবাটরা গ্রামের সোহবান সরদার, সবুজ সরদার, মোখলেসুর, উত্তর ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের বিপ্র সাহা, আছাদ, মানিকনগর, কবীর হোসেন গাজী, সাদেক আলী গাজী, মাহফুজার মোড়ল, আহমদ বিশ্বাস, গাজনা গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও ইমাদুল।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আসামিরা তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘবদ্ধ হয়ে বাদী গফুর এবং এ মামলার সাক্ষী সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর মাস্টার, কামরুজ্জামান, আনোয়ার গাজী, নাছির সানা ও জোহর আলী দপ্তরির বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, চাঁদা দাবি ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার হুমকিসহ প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে। এ ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, খুন ও নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ করা হয় ওই মামলায়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এ টি এম বাসারুতুল্লাহ আওরঙ্গী জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কলারোয়া থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।