সৌদি আরবে ওমরাহ যাত্রীদের বাস দুর্ঘটনায় নিহত আট বাংলাদেশির মধ্যে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর দুজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ শেফায়েত উল্লাহ (২২) ও মোহাম্মদ আসিফ (২৪)। সম্পর্কে তাঁরা খালাতো ভাই।
শেফায়েত উল্লাহ উপজেলার বড়মহেশখালী ইউনিয়নের মগরিয়া কাটা গ্রামের মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের ছেলে। আর মোহাম্মদ আসিফ একই ইউনিয়নের পশ্চিম ফকিরা ঘোনার আহমদ উল্লাহর ছেলে।
সোমবার ইয়েমেন সীমান্তবর্তী সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় যাচ্ছিলেন। ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে। এতে মোট ২২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৮ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন।
শেফায়েত ও আসিফের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে সৌদি আরবে যান শেফায়েত উল্লাহ। এর আগে তাঁর দুই বড় ভাই সাইফুল ইসলাম ও শাহাজাহান ইসলাম সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তাঁরা তিন ভাই সৌদি আরবের আবাহা কামিছে আবাসিক হোটেলে চাকরি করেন। খালাতো ভাইয়ের সূত্র ধরে দুই বছর আগে সৌদি আরবে যান মোহাম্মদ আসিফ।
শেফায়েত উল্লাহর বড় ভাই জাহেদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে সাহরি খাওয়ার সময় সৌদি আরব থেকে ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম ফোন করেন। তিনি শেফায়েতের মৃত্যুর সংবাদ জানান। একই সঙ্গে তাঁর খালাতো ভাই আসিফও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে জানান।
শেফায়েত উল্লাহ ও মোহাম্মদ আসিফের অকালমৃত্যুতে মঙ্গলবার সকাল থেকে তাঁদের পরিবারের আহাজারি শুরু হয়। প্রতিবেশীসহ আশপাশের লোকজন তাঁদের বাড়িতে ভিড় করেন।
বড়মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় তাঁর এলাকার দুই ওমরাহ যাত্রী নিহত হয়েছেন বলে শুনেছেন।