কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় গভীর রাতে চিৎকার শুনে কিশোর ছেলে ঘুম থেকে জেগে ওঠে দেখে, মায়ের গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে আছে। আজ রোববার ভোরে নাগেশ্বরী পৌরসভার কবিরের ভিটা এলাকার সত্য চন্দ্র শীলের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজন ও প্রতিবেশীদের ধারণা, স্বামীর কুড়ালের আঘাতে স্ত্রী নিহত হয়েছেন।
নিহত নারীর নাম লতা রানী (৪০)। তিনি নাগেশ্বরী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরের ভিটা এলাকার সত্য চন্দ্র শীলের (৪৫) স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে সত্য চন্দ্র শীল পলাতক।
স্বজন, প্রতিবেশী ও নাগেশ্বরী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামসুল হক বলেন, লতা রানী স্বামীর সঙ্গে রোববার রাতে ঘরেই ছিলেন। দিবাগত রাত তিনটার দিকে চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা ছোট ছেলে সাগর (১৭) ঘুম থেকে জেগে ওঠে দেখে, তার মায়ের গলাকাটা লাশ বিছানার ওপর পড়ে আছে। পাশে তার বাবা সত্য চন্দ্র শীল দাঁড়িয়ে আছেন। একপর্যায়ে বাবা-ছেলের বাগ্বিতণ্ডায় পরিবারের অন্য সদস্যরাও জেগে ওঠেন। বিষয়টি জানাজানি হলে পালিয়ে যান সত্য চন্দ্র শীল।
শামসুল হক বলেন, প্রায় এক বছর আগে সত্য চন্দ্র শীল ও লতা রানী দম্পতির মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। স্বামীকে না জানিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা ঋণ করেন লতা রানী। ঋণ পরিশোধের জন্য কিছু জমিও বিক্রি করেছেন লতা। ঋণ পরিশোধের জন্য লতা ঢাকা গিয়ে কাজ করতে চাইলে তাতে সম্মতি দেননি স্বামী। এসব নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল। বিছানার নিচে রক্তমাখা কুড়াল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিবাদের জেরেই সত্য চন্দ্র শীল স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপ কুমার সরকার বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।