সোনার বার ছিনতাইয়ের মামলায় তিন পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ঢাকা থেকে ছয়টি সোনার বার নিয়ে সাতক্ষীরা হয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন ব্যাসদেব দে নামের একজন। খুলনার লবণচরা থানার তিন পুলিশ সদস্য তাঁর কাছ থেকে তিনটি বার ছিনিয়ে নিয়ে বাকি তিনটি বারসহ তাঁকে ছেড়ে দেন। পরে তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

তিনটি সোনার বার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) লবণচরা থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে পাচারকারী অভিযোগে ব্যাসদেবকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিন পুলিশ সদস্য হলেন লবণচরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা জামান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহসান হাবীব ও কনস্টেবল মুরাদ। তাঁদের বিরুদ্ধে লবণচরা থানায় এসআই মোকলুকুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যাসদেব দে একজন পেশাদার সোনা পাচারকারী। গতকাল দুপুরে তিনি ছয়টি সোনার বার ভারতে পাচারের জন্য টুঙ্গিপাড়া পরিবহনে করে সাতক্ষীরায় যাচ্ছিলেন। পরিবহনটি খুলনার সাচিবুনিয়া মোড়ে থামিয়ে তল্লাশি চালান অভিযুক্ত ওই তিন পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে পরিবহন থেকে ব্যাসদেব দে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিন পুলিশ সদস্য তাঁকে আটক করেন। পরে তাঁর কাছে থাকা ছয়টি সোনার বারের মধ্যে তিনটি ছিনিয়ে নেন তাঁরা। বাকি তিনটি তাঁকে দিয়ে দেন এবং মোটরসাইকেলে করে তাঁকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ছেড়ে দেন। ছিনিয়ে নেওয়া ৩টি সোনার বারের মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ব্যাসদেব। গতকাল সন্ধ্যায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তখন ওই তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সোনা পাচারকারীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯২ ধারায় মামলার পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ শনিবার তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।