বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিছিলে হামলা ও গুলির অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত এক যুবক টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে গতকাল শনিবার রাতে মামলাটি করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন আজ রোববার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলাটির বাদী লাল মিয়া (৩০) কালিহাতী উপজেলার চিনামুড়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ওরফে ফারুককে হুকুমদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অপর ২২৯ আসামির মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম ছাড়াও রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আশরাফউজ্জামান, শাহজাহান আনছারী ও কুদরত এলাহী খান; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সোলায়মান হাসান, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ তারেক, উপদপ্তর সম্পাদক আনন্দ মোহন।
আসামিদের মধ্যে আরও আছেন পৌর কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান ওরফে স্বপন, সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ আহমেদ, কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লা, এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নুর এ আলম সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০০–১৫০ জনকে।
বাদী উল্লেখ করেন, ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের জেলা সদর সড়কের বিবেকানন্দ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শটগান, পিস্তলসহ আগ্নেয়াস্ত্র এবং চাপাতি, রামদা, কুড়ালসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা করেন আসামিরা। তাঁদের ছোড়া গুলিতে বাদীর বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে বিদ্ধ হয়। পরে তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।