হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর জালালাবাদ এলাকার ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে
হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর জালালাবাদ এলাকার ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে

হবিগঞ্জে খোয়াই নদের পানি বিপৎসীমার ২৭৯ সেন্টিমিটার ওপরে

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদের পানি বিপৎসীমার ২৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত এ পরিস্থিতি ছিল। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ।

খোয়াই নদের শহর রক্ষা বাঁধ উপচে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকছে। বালুর বস্তা দিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

হবিগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, টানা ২ দিনের বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খোয়াই নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খোয়াই নদের উৎপত্তি স্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আটারোমুড়ায়। নদটি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। আজ বেলা ৩টার দিকে খোয়াই নদের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তে বিপৎসীমার ২৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি হবিগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের মাছুলিয়া এলাকায় ১৮৫ সেন্টিমিটার, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ১৭০ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া শহর রক্ষা বাঁধের তেঘরিয়া, গোপায়া ও তেতৈয়া এলাকায় বাঁধ উপচে পানি শহরে ঢুকছে।

গোপায়া এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ মিয়া বলেন, পানি বেড়েই চলেছে। পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে হবিগঞ্জ শহর ডোবার আশঙ্কা আছে। গত রাত থেকে গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।

হবিগঞ্জ শহর লাগোয়া জালালাবাদ এলাকায় নদের পুরোনো ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকে নোয়াগাঁও গ্রামসহ আশপাশে কয়েকটি গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি এই পানি জালালাবাদ হয়ে হাওরে ঢুকছে।

এ ছাড়া কুশিয়ারা ও কালনী কুশিয়ারা নদীর পানিও বেড়েছে। তবে সেগুলোর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হাবিবুর রেজা প্রথম আলোকে জানান, খোয়াই নদের পানি বিপৎসীমার ২৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খোয়াই নদের পানি বাড়ার কারণ হচ্ছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। এ ঢল অব্যাহত থাকলে শহর ঝুঁকিতে পড়বে।