দিনাজপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মজিবর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় এ আদেশ দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রবিউল ইসলাম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মজিবর রহমান দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার খলিলপুরের মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, মজিবর রহমান ও কহিনুর বেগম দম্পতি চিরিরবন্দর উপজেলার মথুরাপুরের কুতুবডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করতেন। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ সময় কলহ ছিল। ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তখন সন্তানেরা এসে তাঁদের ঝগড়া বন্ধ করেন। সেদিন রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাতে স্ত্রী কহিনুর বেগমকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন মজিবর। সকাল ছয়টার দিকে স্ত্রীর বড় ভাই জিয়াউর রহমানকে মুঠোফোনে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি জানিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করতে বলেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাবু মিয়া বাদী হয়ে পিতা মজিবর রহমানকে আসামি করে পার্বতীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ মামলার রায় দেন আদালত।
রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রবিউল ইসলাম বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক এই রায় প্রদান করেছেন। রায়ে অভিযুক্ত মজিবর রহমানের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এই রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।