নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ডহরপাড়ায় গতকাল শনিবার রাতে ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ডহরপাড়ায় গতকাল শনিবার রাতে ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে

নড়াইলে নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িতে হামলা–ভাঙচুর, আহত ২

নড়াইলের লোহাগড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত দুজন আহত এবং ২১টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত আট থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে।

গত মঙ্গলবার লোহাগড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী জয়ী হয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম ফয়জুল হক। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হেলিকপ্টার প্রতীকের এস এম এ হান্নান (রুনু)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে লাহুড়িয়া ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী এ কে এম ফয়জুল হক ও পরাজিত প্রার্থী এস এম এ হান্নানের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এর জের ধরে গতকাল রাত আটটার দিকে ডহরপাড়ায় নিজ বাড়ির কাছে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক তরিকুল মোল্যাকে মারধর করেন বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকেরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এদিকে তরিকুল মোল্যাকে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে লাহুড়িয়া বাজারে প্রতিপক্ষ বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক গিয়াসউদ্দিন মোল্যাকে মারধর করেন পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা। আহত গিয়াসউদ্দিন মোল্যাকে উদ্ধার করে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর রাতেই ডহরপাড়ায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকেরা পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের অন্তত ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। পরে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা বিজয়ী প্রার্থীর একটি বাড়িতে হামলা করেন।

লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) পরিদর্শক সেলিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।