পটুয়াখালী-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালীর দুটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঈগল প্রতীকের সমর্থক ও টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজন মোল্লা বলেন, দুপুর ১২টার পর উত্তর টিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক মিজান, বশির, আবুল ও শিপনের নেতৃত্বে কয়েকজন ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালান। এ সময় ঈগল প্রতীকের সমর্থক ওসমান প্যাদা, আরিফ মোল্লা, জাহিদুল হাওলাদার, কামাল হাওলাদার, মিরাজ মোল্লাসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। এ ছাড়া টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া দ্বীন ই ইলাহী দাখিল মাদ্রাসার সামনে রাস্তার ওপর নৌকার সমর্থক ফেরদৌসের নেতৃত্বে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে জাফর আলী (৩০), তুষার (২০), বাবুল গাজী (৪০) ও মোশাররফ হোসেন (৪৫) আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, 'ভালোভাবেই ভোট চলছিল। নৌকার সমর্থকরা বুঝতে পারছে, তাঁরা টিয়াখালীতে কম ভোট পাবে। এ কারণে তাঁরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঈগলের ক্যাম্পে এসে আমাদের সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে।'
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে টিয়াখালী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান বলেন, 'আসলে আমাদের সমর্থকরা কেন্দ্র দুটির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। তখন ঈগলের সমর্থকরা আমাদের সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে শ্লোগান দেয়। এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে মারামারি হয়। যতটুকু ঘটনা ঘটেছে, এ জন্য ঈগলের সমর্থকরাই দায়ী।'
আরও পড়ুনঃ
প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করছেন যুবক
নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাঙ্গলের প্রার্থীর ভোট বর্জন
আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে, এবারও সেটাই করা হচ্ছে: জি এম কাদের
দুটি ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কেন্দ্র দুটি পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ভোটাররা স্বাভাবিকভাবে ভোট দিচ্ছেন।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মহিববুর রহমান। এ ছাড়া এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান (ঈগল), আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আনোয়ার উল ইসলামের ছেলে আবদুল্লাহ আল ইসলাম (ট্রাক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) বিশ্বাস শিহাব পারভেজ (মশাল), জাতীয় পার্টির আবদুল মন্নান হাওলাদার (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন (ডাব) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। মানুষজন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’