নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে প্রার্থীদের সহযোগিতা দরকার। প্রার্থীদের বিবাদ এড়িয়ে চলতে হবে। কমিশন ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট রাখবে। কোনো ধরনের হাঙ্গামা বরদাশত করা হবে না। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তিনি আরও বলেন, কুমিল্লার নির্বাচনে কমিশন ভালো করুক, মন্দ করুক, এর প্রভাব আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও পড়বে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এ নির্বাচন কমিশনার।
মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে একটা অস্পষ্ট ধারণা ছিল। এ কারণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট করা হয়নি। তবে আগেও দুবার কুমিল্লা সিটিতে ইভিএমে ভোট হয়েছে। তাই এবারও ইভিএমে ভোট হবে। ইভিএমে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিন।’
কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, চার মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক, তাহসীন বাহার, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, নূর-উর রহমান মাহমুদ প্রমুখ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভালো করা অসম্ভব। এত প্রতিবন্ধকতা, তবুও ভালো একটা নির্বাচন হয়েছে। তবে নির্বাচনে আরও প্রার্থী থাকলে ভালো হতো। তিনি বলেন, ‘গতবারের সিটি নির্বাচনের ফলাফল যেভাবে ঘোষণা হয়েছে, এবার কিন্তু ক্রমাগত কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ একটার পর একটা ভোটকেন্দ্রের ফল দেওয়া হবে।’
সভায় মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক বলেন, ‘ভোটার আনার জন্য মাইকিং করতে হবে কমিশনকে। নারীদের নিচতলায় ভোট কক্ষ দিতে হবে। ২০২২ সালে আমি ৩৪৩ ভোটে হেরেছি। আমি মাইনা নিছি। এবার কিন্তু গতবারের মতো ভোটের ফল যেন না হয়। একটা একটা করে ভোটন্দ্রের ফল দিতে হবে। ভোটকক্ষের ভেতরে যেন কোনো মাসলম্যান না থাকে।’
মেয়র প্রার্থী তাহসীন বাহার বলেন, ‘ঢালাও অভিযোগ যেন আমলে না নেওয়া হয়। অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
মেয়র প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানান, কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নিজ থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।