সিরাজগঞ্জে যুবকের বিরুদ্ধে ভগ্নিপতিকে হত্যার অভিযোগ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় রাসেদুল ইসলাম (৩১) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে তাঁর ভগ্নিপতি ইমরান হোসেনকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরান মারা যান।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের উত্তর সারটিয়া গ্রামে শ্যালক রাসেদুলের ছুরিকাঘাতে ইমরান আহত হয়েছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

নিহত ইমরান সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলার সারটিয়া গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়েকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতেন। এদিকে ইমরানের মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ সকালে স্বজনেরা রাসেদুলের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান।

নিহত ইমরানের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উত্তর সারটিয়া গ্রামের ফরিদুলের মেয়েকে বিয়ে করে সেখানে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছিলেন ইমরান। কিছুদিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্যালক রাসেদুল তাঁকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ইমরান থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এরই মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন রাসেদুল ইসলামের স্ত্রী। মামলাটির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি রাসেদুল। কয়েক দিন আগে পুলিশ রাসেদুলকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়িতে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান রাসেদুল। এতে তিনি আরও ক্ষুব্ধ হন। তিনি মনে করেন ভগ্নিপতি ইমরানের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে আসে পুলিশ। এ ঘটনার জেরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাসেদুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমরানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ইমরানকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে ইমরান মারা যান।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য ইমরানের লাশ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।