ফরিদপুরের সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান সোমবার বিকেলে এ নোটিশ দেন।
নোটিশে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সংসদ সদস্যকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়, ফরিদপুর সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. শহীদুল ইসলাম (আনারস) সংসদ সদস্যের নামে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিওর বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মোকলেসুর রহমান (ঘোড়া প্রতীক) সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচনের (আচরণবিধি) বিধিমালা অনুযায়ী, সংসদ সদস্য ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’। তাই নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রাপ্ত নথি থেকে বোঝা যাচ্ছে, সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট লিখিত ব্যাখ্যা ২৮ মে বিকেল চারটার মধ্যে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভাঙ্গা-সদরপুর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
অডিওতে সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ওরফে বাবুলের উদ্দেশে সংসদ সদস্যকে বলতে শোনা যায়, ‘এমপিগিরি করি আর না করি, বাবুলের অস্তিত্ব আমি সদরপুর থেকে বিদায় করব।...বাবুলের অস্তিত্ব থাকবে না ভাঙ্গা-সদরপুরে। এই নির্বাচনের পর বাবুলের কোনো অস্তিত্ব আমি এই সদরপুরের মাটিতে দেখতে চাই না।’
নিক্সন চৌধুরী নোটিশের বিষয়ে বলেন, তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। তিনি এলাকাতেই নেই। যে অডিওর কথা বলা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। তিনি এখনো কারণ দর্শানো নোটিশ পাননি। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নোটিশ পেলে এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাবেন।
অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান বলেন, ভাঙ্গা ও সদরপুরের দুই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সংসদ সদস্যকে এ কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি শিগগিরই নোটিশ পেয়ে যাবেন।