শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার একান্ত অনুচর প্রেসিডেন্ট ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে তাঁর নেত্রীর পতন মেনে নিতে পারেন নাই। হাসিনা পতনের আড়াই মাস পর পদত্যাগ নিয়ে নতুন বয়ান গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করে। হাসিনার পদত্যাগপত্র চুপ্পু সাহেব গায়েব করে ফেলেছেন কি না, জাতি তা জানতে চায়। জাতি গণভবনের ষড়যন্ত্র মেনে নেয় নাই, বঙ্গভবনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না। তিনি হাসিনা সরকারকে গণহত্যা বন্ধ করতে নিষেধ না করে গণহত্যাকে প্রকারান্তরে সমর্থন করেছেন। ছাত্র-জনতার গণবিপ্লব দমন করতে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের গণহত্যার দায় সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এড়াতে পারেন না।’
আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বতিহালায় পুরাকান্দুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এসব কথা বলেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতা সোলায়মান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এমরান সালেহ বলেন, ‘হাসিনার পতন নিয়ে আড়াই মাস আগে-পরে প্রেসিডেন্টের ভিন্ন বক্তব্য বিস্ময়কর এবং অনভিপ্রেত। তাঁকে প্রেসিডেন্ট বানিয়ে শেখ হাসিনা বঙ্গভবন ও প্রেসিডেন্ট পদকে কলঙ্কিত করেছিলেন। এখন সুযোগ বুঝে ভোল পাল্টিয়ে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু গণহত্যাকারী হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র করছেন।’ তা কখনোই সফল হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ আরও বলেন, ‘সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ফ্যাসিবাদের প্রেসিডেন্ট। ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশে প্রেসিডেন্ট পদে তিনি বেমানান। চুপ্পু সাহেব ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে তাঁর নিয়োগকর্ত্রীর পতন মেনে নিতে পারছেন না। হাসিনা পতন–পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর “বডি ল্যাঙ্গুয়েজ” তা প্রমাণ করে। তিনি অসত্য কথা বলে শপথ ভঙ্গ করেছেন। শপথ ভঙ্গকারী মানুষ প্রেসিডেন্ট পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন।’
এ সময় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, ফরহাদ রাব্বানী, বিএনপি নেতা আবদুল কুদ্দুস, হাবিবুর রহমান, আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার, গাজীউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।