বান্দরবানে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা সম্পত্তি আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব সম্পত্তি জিম্মায় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। প্রশাসনের একটি কমিটির মাধ্যমে এসব সম্পত্তি তত্ত্বাবধান করা হবে।
আজ বেলা ১১টায় বান্দরবান-চট্টগ্রামের সড়কের সুয়ালক মৌজায় বেনজীর আহমেদের বাগানবাড়ি এলাকায় যান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন প্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সেখানে বাগানবাড়ি, মৎস্য পুকুর ও গবাদিপশুর খামার ঘুরে দেখেন। এ সময় বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের নিয়োজিত ব্যবস্থাপক মংওয়াইসিং মারমা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ব্যবস্থাপক মংওয়াইসিং মারমার উপস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী জীশান মীর্জা ও তাঁদের মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের ২৫ একর জমির ওপর থাকা বাগানবাড়ি, পুকুর, গবাদিপশুর খামারসহ সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জিম্মায় নেন। বাগানবাড়ি প্রাঙ্গণে জিম্মায় নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে।
স্থাপিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের পারমিশন পিটিশন মামলার আদেশে ৩১৪ নম্বর সুয়ালক মৌজার ৭২০ নম্বর হোল্ডিংয়ের ২৫ একর স্থাবর এবং উপরিস্থিত অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক (জব্দ) ও অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়েছে। আদালতের পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত উক্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়, হস্তান্তর ও বিনিময় করা যাবে না।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেছেন, আদালত জেলা প্রশাসককে জিম্মাদার (রিসিভার) নিয়োগ করেছেন। সেই মোতাবেক সাবেক আইজিপির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁরা কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) নিয়োগ করে সম্পত্তির সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করবেন।