টাঙ্গাইল শহরে এক নারী উদ্যোক্তার বাসায় ঢুকে গলায় ছুরিকাঘাত করে প্রায় দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে এক দুর্বৃত্ত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নদীয়া আক্তার ওরফে নদী (৩৫) নামের ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার বেলা একটার দিকে শহরের সাবালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নদীয়া আক্তার নাট্য অভিনেতা ও নির্মাতা সাজু মেহেদীর স্ত্রী। আজ রোববার সন্ধ্যায় সাজু মেহেদী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার রাতেই নদীয়া আক্তারের গলায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আইনগত পদক্ষেপ এখনো নিতে পারেননি। টাঙ্গাইলে ফিরে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাজু মেহেদী বলেন, নদীয়া আক্তার শহরের সাবালিয়ায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়কে কিছুদিন আগে নদীয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নামে একটি ব্যবসাকেন্দ্র চালু করেছেন। গতকাল দুপুরের দিকে এক ব্যক্তি নদীয়াকে ফোন করে জানান, তিনি ওই দোকানে থ্রি–পিস সরবরাহ করতে চান। এ বিষয়ে কথা বলার পর জরুরি প্রয়োজনে নদীয়া দোকান থেকে পাশেই বাসার দিকে আসছিলেন। তখন আবারও ওই ব্যক্তি ফোন করে জানান তিনি দোকানের কাছাকাছি চলে এসেছেন। এ সময় নদীয়া জানান, তিনি বাসায় যাচ্ছেন, এসে কথা বলবেন। এরপর তিনি বাসায় যান। তবে একটু পরেই ওই ব্যক্তি বাসায় প্রবেশ করেন। ঘরে ঢুকেই নদীয়ার গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেন। নদীয়া বাধা দিতে গেলে ওই ব্যক্তি ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করেন। পরে নদীয়াকে বাথরুমে আটকে রেখে যান। ওই ব্যক্তি নদীয়ার ব্যাগে থাকা প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়ে যান।
সাজু মেহেদী বলেন, পরে নদীয়া বাথরুমের দরজা ভেঙে বাইরে বের হয়ে আসেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোক এগিয়ে এসে নদীয়ার ভাইকে খবর দেন। প্রথমে নদীয়াকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মেদ জানান, এ ঘটনা শোনার পর আজ রোববার ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আহত নদীয়ার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের পক্ষ থেকে পুলিশের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।