জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে শিক্ষকদের পেনশন স্কিমে যুক্ত করার নির্দেশনা বাতিল করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে শিক্ষকদের পেনশন স্কিমে যুক্ত করার নির্দেশনা বাতিল করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে

কোটা সংস্কার আন্দোলন

জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাস থেকে অছাত্রদের বের করে দেওয়ার দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও বহিরাগতদের হামলায় প্রশাসনের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁরা মনে করেন, প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ইঙ্গিত ছাড়া এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। ক্যাম্পাস থেকে অছাত্রদের বের করে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষকদের পেনশন স্কিমে যুক্ত করার নির্দেশনা বাতিল করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে কয়েকজন শিক্ষক এই মন্তব্য করেন।

কর্মসূচিতে শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলায় আহত সবার চিকিৎসার ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহন করা, ক্যাম্পাসে অবস্থানরত অছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান৷ পরে শিক্ষকেরা মৌন মিছিল করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে যান। সেখানে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বর্তমান প্রশাসন ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন। এ ছাড়া ওই সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেটি মানা হবে না।

অবস্থান কর্মসূচিতে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম বলেন, ‘গতকাল বহিরাগতদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। তবে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের সহকর্মীরা যে অবস্থায় ছিল, তাতে বড় অঘটন ঘটে যেতে পারত। প্রশাসন বলতে কিছুই ছিল না। আমি এ ধরনের প্রশাসন দেখিনি৷ আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী বলেন, ‘গতকালের ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করছি। বহিরাগতদের নিয়ে যেসব পিকআপ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে, সেগুলো ঢোকার কথা নয়। প্রশাসনের কারণেই তারা ঢুকতে পেরেছে। ক্যাম্পাস থেকে অছাত্রদের বের করে দিতে হবে।’