কোটা বাতিলের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আজ সোমবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
ছবি: প্রথম আলো

সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল, মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক আবারও অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এ সময় সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, সন্ধ্যার আগে তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে যাবেন না। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের সামনে থেকে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে জড়ো হন শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকেও শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে গান-কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। এসবের ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

অবরোধ চলাকালে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। কর্মসূচি চলাকালে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘১৮ সালের পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, চাকরির পরীক্ষা, ভর্তির পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। ফলে মেধাবীদের বঞ্চিত করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা এসব ক্ষেত্রে সুবিধা নিচ্ছেন। এ বৈষম্য মানা যায় না। এ আন্দোলন একেবারে কোটা বাতিলের দাবিতে নয়। তাঁদের দাবি, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে।

এর আগে গতকাল রোববার দুই ঘণ্টা অবরোধ শেষে বেলা দেড়টার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতর চলে যান। এ সময় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় তিন কিলোমিটারে যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় ৩২ জেলার মানুষের স্থলপথের একমাত্র যোগাযোগের মহাসড়ক এটি। একই দাবিতে গত বুধবার ২৫ মিনিট ও শনিবার ৩০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা।