দক্ষিণ এশিয়া কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ষষ্ঠ আসরে ২টি স্বর্ণসহ ২৩টি পদক অর্জন করেছে বান্দরবানের লামা মহামুণি শিশুসদনের ৮ জন নিবাসী। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় গত ২৮ ও ২৯ নভেম্বর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত দুজন হলো সংক্যউ মারমা ও রুইতুম ম্রো। তারা বালক ও বালিকা বিভাগের একক কাতা ক্যাটাগরিতে এই সাফল্য পায়। দেশের জন্য গৌরব অর্জনকারী মহামুণি শিশুসদনের কিশোর-কিশোরীদের সংবর্ধনার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। আগামীকাল শুক্রবার পার্বত্য চুক্তির ২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমঞ্চে এই সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
মহামুণি শিশুসদনের পরিচালক সিংমং জানান, তাঁদের শিশুসদনের ছয়জন কিশোরী ও দুজন কিশোর শ্রীলঙ্কার ষষ্ঠ দক্ষিণ এশিয়া কারাতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তারা ২টি স্বর্ণপদক, ৩টি রৌপ্য ও ১০টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে।
রৌপ্যপদকপ্রাপ্তরা হচ্ছে একক কাতায় (বালিকা) নুমে মারমা, ৪৭ কেজি ক্যাডেটে ছাইনুয়ই মারমা ও ৫২ কেজি ক্যাডেটে বালক দলে ক্যছাই উ মারমা। এ ছাড়া কিশোরী টুম্পং ম্রো, প্রুওয়াংচিং মারমা, মেতাইওয়াং মারমাসহ অংশগ্রহণকারী ৮ জন মিলে আরও ১০টি ব্রোঞ্জপদক লাভ করেছে। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সিংক্যউ মারমা ও রুইতুম ম্রো নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা লামা মডার্ন স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করে।
মহামুণি শিশুসদনের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আছেন মংবাসিং মারমা। তিনি বলেন, শিশুসদনের শিশু-কিশোরদের একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি কারাতে শিক্ষাও দেওয়া হয়। এ জন্য এটি দেশের অন্যতম কারাতে শিক্ষাকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে সাফ গেমসে নারী কারাতে প্রতিযোগিতায় জ উ প্রু মারমা দুইবার স্বর্ণপদক পেয়েছেন। তিনি ও তাঁর স্বামী সিং মং দুইজনেই মহামুণি শিশুসদন পরিচালনা করেন এবং কারাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তাঁরা ২০১৯ সালে শিশুসদনের নিবাসী ও আশপাশের অনিবাসী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানোর জন্য লামা মডার্ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
বান্দরবান জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা উচিং মং মারমা বলেন, শ্রীলঙ্কায় ষষ্ঠ দক্ষিণ এশিয়া কারাতে প্রতিযোগিতায় পদকপ্রাপ্ত আটজনকে কাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে। জেলা শহরের রাজার মাঠে পার্বত্য চুক্তির ২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার, রৌপ্যপদকপ্রাপ্তদের ৩০ ও ব্রোঞ্জপদক প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।