রাজশাহীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক নেতা পিটুনির শিকার হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে নগরের বিনোদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে বেশ কয়েকজন তরুণ লাঠি, স্টাম্প দিয়ে পিটিয়েছেন। তাঁর বাঁ হাতের কবজি, ডান হাত, পা, পিঠে আঘাতের চিহ্ন আছে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম আশিকুল্লাহ মুহিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন। তবে পরে গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো পদে না থাকলেও আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের করা নগরের মতিহার থানায় একটি মামলা আছে।
আশিকুল্লাহ বলেন, ‘আমি ঢাকায় যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বিনোদপুর বাজারে বাসের টিকিট কাটতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিনোদপুরের মন্ডলের মোড় থেকে ১৫-২০ জন তরুণ এসে আমাকে এলোপাতাড়ি পেটায়। পেটানোর সময় তারা আমাকে “নাস্তিক” বলে সম্বোধন করছিল। বারবার বলছিল, “তুই ছাত্রলীগের দালাল, নাস্তিক। তোরা আন্দোলনে একটা লেবাস ধরে এসেছিস। তুই কিসের সমন্বয়ক।” সেখানে মারধরকারী একজন বারবার নিজেকে ছাত্রদলের সমাপ্ত নাম এক কর্মী বলে পরিচয় দিচ্ছিল।’
আশিকুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা ছাত্র-জনতা মিলে আন্দোলন করেছি। এখানে রাজনৈতিক দলের সংহতি ছিল। কিন্তু এটা ছাত্র-জনতারই আন্দোলন। আমি এই বিষয়সহ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর লুটপাট নিয়ে লিখেছি। আমাকে মারধর করার কারণ এটাও হতে পারে।’
ছাত্রদলের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘ছাত্রদলের কেউ এই কাজ করেনি। সমাপ্ত নামে ছাত্রদলের কেউ নেই। আগেও এই নামে কেউ ছিল না। এ ঘটনার পর খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, এটা ব্যক্তিগত আক্রমণ হতে পারে।’ তিনি বলেন, কিছু চক্র সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করছে, লুটপাট করছে। ছাত্রদল লুটপাটকারী, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। কেউ এ ধরনের হামলার শিকার হলে তাঁদের বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে।