ইফতারে কম দামি খেজুরই ভরসা নিম্ন আয়ের মানুষের

বাহারি খেজুরের পসরা নিয়ে বসেছেন এক বিক্রেতা। রোববার বিকেলে গাজীপুর শহর এলাকায়
ছবি: মাসুদ রানা

রমজানে ইফতারে নানা রকম আয়োজন থাকে। ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার খেজুরের দাম বেশি হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা। ফলে বাজারে সবচেয়ে কম দামি হিসেবে পরিচিত ‘জিহাদি খেজুরেই’ ভরসা করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে খেজুর কিনতে আসা কারখানার শ্রমিক জুলেখা খাতুন বলেন, ‘সারা দিন রোজা থাকি, ইফতারের সময় দুইটা খেজুর আর পানি খাই। এরপর নামাজ পরে ভাত খাই। আমাদের ইফতারি বলতে দুটো খেজুরই। কিন্তু এবার দাম বেশি মনে হচ্ছে। মন তো চায় ভালো খেজুর কিনতে, কিন্তু টাকায় কুলায় না।’

খেজুর বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে আকার ও মানভেদে খেজুরের দাম ভিন্ন। কালাস নামের প্রতি কেজি খেজুর ২৫০ টাকা, জাপানি খেজুর ৩৫০, পাতা খেজুর ৪৫০, বরই খেজুর ৪৫০, আজোয়া খেজুর ১ হাজার ১০০, মাবরুম ১ হাজার ২০০, কালমি ৭০০, সুক্কারি ৫৫০, সুগাই ৬০০, রাবেয়া ৫০০ টাকা, মজদুল ৬০০, মরিয়ম ১ কেজি ৭০০, মেডজুল ১ কেজি ৮৫০ ও আম্বার প্রতি কেজি ৫৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিক আলাউদ্দিন বলেন, ‘বাজারে এসে শুধু দাম শুনে যাচ্ছি। বাজরে লেবু, বেগুন, শসা—সবকিছুর দাম বেশি। একটু ভালো মানের দুই কেজি খেজুর কিনতে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা লাগে। তাহলে যাঁদের বেতনই অল্প, তারা কীভাবে কিনবে? বাধ্য হয়ে কম দামি জিহাদি খেজুর নিচ্ছে।’

জয়দেবপুর বাজারের খেজুর ব্যবসায়ী মামুন বলেন, এবার একটু খেজুরের দাম বেশি। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। কেনা বেশি, তাই বেচাও বেশি। সব দামের খেজুরের ক্রেতাই আছে, তবে ‘জিহাদি খেজুর’ বিক্রি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।