বাসচাপায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইশা ফৌজিয়া নিহতের ঘটনায় চালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার পটুয়াখালীর খাসেরহাট গ্রাম থেকে জামিল হোসেন নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ ছাড়া বাস মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর মহাসড়ক থেকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
চালককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঁঞা। তিনি জানান, জামিলের বাড়ি পটুয়াখালীর মরিচবুনিয়া গ্রামে। তিনি নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস পরিবহনের বাসের চালক।
গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষার্থী ও বাসমালিকদের নিয়ে সভার আয়োজন করে প্রশাসন, যা প্রায় দিবাগত রাত সোয়া ৩টা পর্যন্ত চলে। সভায় নিহত মাইশার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয় বাস মালিকপক্ষ। পরে শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান আহসানুল হক আজ শনিবার সকালে বলেন, বৈঠকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। পরে মালিকপক্ষ মাইশার পরিবারকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছে।
গত বুধবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ‘নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস’ নামের কুয়াকাটা থেকে বরিশালে আসা একটি বাসের চাপায় নিহত হন মাইশা। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটি জব্দ করে আগুন দেন। তখন বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে যান।
ওই দিন রাত সোয়া ৯টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা এবং গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয়েছিল। এরপর গতকাল বেলা সাড়ে ৩টায় একই দাবিতে মহাসড়কটি অবরোধ করেন তাঁরা। পরে রাত ১১টার দিকে বিভাগীয় কমিশনারের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে দেন। এরপর ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।