মো. মামুন মিয়া
মো. মামুন মিয়া

‘আমার লগে সমন্বয় কইরা কাজ ধরবেন, না হইলে কাজ ধরবেন না, সমস্যা আছে’

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি স্কুলের ভবন নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারকে স্থানীয় বিএনপি নেতা ফোন করে তাঁর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছেন। ছড়িয়ে পড়া এক অডিওতে বিএনপি নেতা মো. মামুন মিয়াকে ঠিকাদারের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমনেরে বলছি, আমার লগে সমন্বয় কইরা কাজ ধরবেন, না হইলে কাজ ধরবেন না, সমস্যা আছে।’

ঠিকাদার ও স্থানীয় বিএনপি নেতার মধ্যে হওয়া একটি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ আজ রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ঠিকাদারের নাম মো. ফরহাদ মোড়ল। তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম হাজী ট্রেডার্স। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই উপজেলার তাতিসুতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। তিনি উপজেলার সোনাকর গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. মামুন মিয়া উপজেলার বরমী ইউনিয়নে ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অডিওতে মামুন মিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। আপনি কাজ করবেন, শ্রীপুরের লোকেরে টেহা খাওয়াইবেন, তাইলে আমরা কী করমু?’

ছড়িয়ে পড়া অডিও ক্লিপের কথোপকথন নিজের বলে স্বীকার করে মামুন মিয়া বলেন, ‘আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ কথোপকথন প্রকাশ না করে সম্পাদনা করে বিতর্ক ছাড়ানোর মতো কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি তাঁকে আমার সঙ্গে সমন্বয় করতে বলিনি।’

মামুন মিয়া আরও বলেন, তাঁর নিজের সন্তান ওই স্কুলে পড়াশোনা করে। ভালোভাবে কাজ না হলে ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেতে পারে। সে জন্য ঠিকাদারকে ফোন করে সচেতন করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার মো. ফরহাদ মোড়ল বলেন, ‘আমাকে তাঁর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছেন। না হলে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এর বেশি কী বলব, বুঝতে পারছি না। সাংবাদিকদের সঙ্গে এর বেশি বললে এর সাইড এফেক্ট থাকতে পারে। আমাকে দেখবেন ভুয়া মামলা দিয়ে দেবে। বিপদে ফেলবে। তবে এটুকু জেনে রাখুন, আমি শঙ্কিত।’

শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন ফকির বলেন, ‘এমন একটি বিষয় শুনেছি। তবে কোনো অন্যায়কে সমর্থন করি না। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’